গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮৮ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৯৮,৫৪৬ ভোট এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ৪২,৯১২ ভোট।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে সকাল আটটায় একযোগে সিটি এলাকার ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নাশকতার অভিযোগে ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা। নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী এলাকার সব অফিস, কল-কারখানা, স্কুল-কলেজসহ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)। ভোটাররা বলছেন, প্রার্থী সাত জন হলেও মূল লড়াই হবে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুরে এবার মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার এক লাখ ১১ হাজার। এছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়। নাশকতার অভিযোগে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে ৩৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫৪ জন। সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে ৮৪ নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন।